ঢাকা: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়াটা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তামাশা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বেছে বেছে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আমরা ইতোপূর্বে বলেছিলাম, মূলত প্রধানমন্ত্রী সেদিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় রেখে শারীরিক অবস্থাকে অমানবিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে বর্তমান সরকার। গতকাল স্বজনরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শারীরিক অবস্থা দেখে বেদনাহত ও ব্যথিত হয়েছেন। এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর সুচিকিৎসার জন্য যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেটির বিন্দুবিসর্গও পালন করা হয়নি। বরং সুচিকিৎসার দাবি করাটাও যেন দেশনেত্রীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার একটা মওকা পেয়ে গেছে, দেশনেত্রীকে চিকিৎসা না দিয়ে তাঁর অসুস্থতাকে চরম অবনতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ঘাড়ে ও বাঁ হাতের আঙুল পর্যন্ত, আর কোমর হয়ে বাঁ পায়ের তলা পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথায় অস্থির হয়ে আছেন। অস্ত্রোপচারকৃত দুটি চোখই ধূলাকীর্ণ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে দিনকে দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
রিজভী আরো বলেন, ‘বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বারবার দাবি করা সত্ত্বেও সরকারের এড়িয়ে যাওয়ায় মনে হয়, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে হাতের মুঠোয় নিয়ে কোনো অশুভ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আবারও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, বেগম জিয়ার প্রতি এই অন্যায় বরদাশত করা হবে না। তাঁর ন্যূনতম কোনো ক্ষতি হলে সরকার জনগণের ক্রোধ থেকে রেহাই পাবে না। একই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি।’