ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কে, রেললাইনের ওপরে এবং আবাসিক এলাকায় কোনও পশুর হাট বসবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে গরুর হাট বসবে ২২টি।
যদি পরবর্তীতে গরুর হাট বৃদ্ধি পায় তাহলে হবে সর্বোচ্চ ২৯টি। তবে মহাসড়ক এবং আবাসিক এলাকায় কোনও পশুর হাট বসবে না। রেললাইনের ওপরেও কোনও হাট বসতে পারবে না।’
রবিবার (২২ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা ও ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২২শে আগস্ট চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল আযহা পালিত হবে। এ উপলক্ষে প্রত্যেক গরুর হাটে পুলিশ ক্যাম্প এবং র্যাব ক্যাম্প থাকবে। হাটগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে।
যদি কেউ অনেক বেশি টাকা নিয়ে চলাচলে নিরাপদ বোধ না করেন সেজন্য হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানি স্কোয়াড টিম থাকবে। জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএমপি জাল নোট শনাক্তকরণের মেশিন বসাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার পশুর হাটের খাজনা মেইন গেইটে টাঙিয়ে রাখতে হবে। কারও কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা যাবে না। গরুর হাটের সীমানার বাইরে কোনও হাট বসবে না। যানজট নিরসনে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
তিনি বলেন, পশুবাহী যানবাহন কোনও হাটে যাবে সেটা ব্যানারে ট্রাকের সামনে টাঙিয়ে রাখতে হবে। তাহলে কেউ জোর করে গাড়ি থামিয়ে অন্য হাটে নিতে পারবে না। গরু মোটাতাজা করার ওষুধ সম্পর্কে পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনকে তালিকা দেবে।
এ ধরনের ওষুধ যেন হাটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা থাকবে। চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনওভাবেই যেন চামড়া পাচার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আযহার সময় যারা ঢাকা ছেড়ে যাবে তাদের জন্য বিভিন্ন স্ট্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাওনা যথাসময়ে মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং প্রত্যেক শ্রমিককে পালা করে ছুটি দিতে দিবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ই আগস্ট সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, ৭টা ৩০ মিনিটে বনানী এবং সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হবে।
এসব কিছু যেন সুন্দরভাবে হয় সেজন্য রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং রাজধানীর বাইরের কর্মসূচি চলাকালে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) এবং পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।