ঢাকা: কুষ্টিয়ায় হামলায় আহত দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মাথায়, ঘাড়ে, চোখও কানের নিচে ও মুখমন্ডলে আঘাতের স্থানগুলোতে চিকিৎসা চলছে।
গতরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাহমুদুর রহমানকে যশোর থেকে বিমানযোগে ঢাকার ইউনাইটেডে হাসপাতালের সিসিইউতে আনা হয়।
পরে সেখানের জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে আজ সকালে কেবিনে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর একাংশের মহাসচিব মো. আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি ইউনাইটেডে ব্রি. জে. (অব) প্রফেসর ড. শফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
তার শরীরে আঘাতের স্থানগুলোতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সিটি স্ক্যান ও এক্সরেসহ অন্যান্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। হাসাপাতালের কেবিনে সার্বক্ষণিক মাহমুদুর রহমানের মা ও স্ত্রী সঙ্গে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে মাহমুদুর রহমানের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বিকাল সাড়ে চারটায় আদালত থেকে বের হলে আদালত প্রাঙ্গনেই এই হামলার শিকার হন তিনি।
পরে তিনি মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট সামস তামিম মুক্তির চেম্বারে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগ সেখানেও হামলা চালায়। মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া আদালতে যান ৫০০ ধারার মানহানি মামলায় জামিন নিতে। হাজির হওয়ার পর আদালত জামিনও মঞ্জুর করেন। পরে পুলিশি প্রটেকশনে ঢাকার পথে রওনার নির্দেশ দেন আদালত।
রওয়ানা হবার আগেই আদালত এলাকায় জমায়েত হয় সরকার দলীয় স্থানীয় কর্মী সমর্থকরা। তারা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দিতে থাকে স্লোগান। হামলার আশংকায় মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এম.এম মোর্শেদের আনুমতি নিয়ে তার আদালতে আশ্রয় নেন।
কিন্তু তার পরেও কুষ্টিয়ায় আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার ওপর ব্যাপকভাবে ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। হামলার আগে মাহমুদুর রহমান আদালত কক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে নিজের নিরাপত্তা দাবি করেন। এসময় তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য ওসির সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোন সাড়া দেননি।