বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না: প্রধানমন্ত্রী

hasina ligঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু জানে কিভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি করা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা সন্ত্রাস করে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার বিকালে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় হতাহত ২৫ জনের পরিবারের কাছে সঞ্চয় সার্টিফিকেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিশাল ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই হামলার কয়েকদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- আমি ভবিষ্যতে আর কখনো প্রধানমন্ত্রী, এমনকি বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। বেগম জিয়ার এই বক্তব্যের পরই এই হামলা হয় এবং এ থেকে বোঝা যায় এই অপরাধে কে জড়িত।

তিনি বলেন, তাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোম পুঁতে রাখা হয়। যখনই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হলো তখনি আমার জীবনের ওপর হামলা হলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল- আওয়ামী লীগ একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যখনই তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছিল, তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের ওপর হামলা হবে।

তিনি বলেন, সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলাসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে দলের কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আমরা যখন একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করছিলাম, ঠিক তখনই সন্ত্রাসের শিকার হলাম। ঘাতকরা প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের অপরাধ করতে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।’

ওই গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গসংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই এখন দুর্বিসহ জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন। হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।