‘আ.লীগের অফিসে গুলি করলে চুমো খাব?’

শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার সময় গুলিও করা হয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এমন ঘটনায় পাল্টা আঘাতই করা হবে, কেউ চুমু খাবে না।

রবিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এর মধ্যে শনিবার শিক্ষার্থীদের টানা ষষ্ঠ দিনের অবস্থানের মধ্যে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে জিগাতলায় চারজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে এবং চারজন মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই তথ্য শুনে সবাই একজোট হয়ে গাছের ডাল ভেঙে ছুটে আসে ধানমন্ডি ৩/এতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে। শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে জানা যায় বিষয়টি গুজব।

তবে এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে হামলা করতে আসারা শিক্ষার্থীদের পোশাকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের।

আজ কাদের বলেন, ‘রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে গোলাগুলি করতে করতে আসলে তাদেরকে বল প্রয়োগ করবে না, চুমু খাবে?’

গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে।

৩০ জুলাই থেকে ছাত্রদের রাজপথে অবস্থানের সুযোগে গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নানা গুজব ছড়ানো হয়। ছাত্রদের উত্তেজিত করার পাশাপাশি বিপুল স্কুল ড্রেস বিক্রির তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। অছাত্ররা ছাত্রবেশে এই সুযোগে মাঠে নেমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলে বলেও বাহিনী থেকে জানানো হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাত দিন ধরে ধৈর্য ধরেছি। আজকে পুলিশকে অপমান করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে-এমন অভিযোগ আবার তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতির হোতা বিএনপি নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে নিরাপদ ক্ষমতার পথ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। সেই এজেন্ডা নিয়ে এরা এগিয়ে যাচ্ছে।’