ঈদ যাত্রার শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি এলাকায় বুধবার মধ্যরাত থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারের যানজট সৃষ্টি হয়েছে আর এই যানজটে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। গাড়ির চালক ও যাত্রীরা বলছেন, কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাতায়াতের ২ ঘণ্টার রাস্তায় প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ-মেঘনা-গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা সেতু এবং দাউদকান্দির টোলপ্লাজা এলাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেলে টাকা আদায়ে ধীরগতি এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও বেপরোয়া গতিতে এলোমেলো গাড়ি চলাচলের কারণে তারা ফোর লেনের তেমন সুফল পাচ্ছেন না। যানজটে আটকা পড়ে যাত্রী ছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্সকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা অংশে দীর্ঘ যানজটে আটকে আছে শত মত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদের বাজারে আনা-নেওয়া পশুর যানবাহনগুলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, খাদ্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
এ দিকে দীর্ঘ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকামুখী দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে কুমিল্লা অংশের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার জ্যাম রয়েছে। দাউদকান্দি টোল প্লাজায় ৮টি বুথ রয়েছে কিন্তু ব্রিজে গাড়ি উঠতে পারছে একটি। এখানে একটি জটলার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কোনও গাড়ি রাস্তায় নষ্ট হলে তা সরাতে বেশ সময় লাগে। এছাড়া ঈদে তিন দিন মালবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এসব বাড়তি গাড়িরও চাপ রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, মোবাইল টিম, পেট্রোল টিম কাজ করে যাচ্ছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম জানান, ট্রাফিক সপ্তাহে মামলার ভয়ে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো রাস্তায় নামানো হয়নি। ওইসব গাড়ি এখন সড়কে নেমেছে। এছাড়াও কোরবানির গরুবাহী গাড়ির চাপও বেড়েছে। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।