নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সাতজন যাত্রী। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদী ও ভৈরব সীন্তবর্তী এলাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার দড়িকান্দী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের পাশের ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, সুনামগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার আবুল হোসেন (৩০), আবদুল মিয়া (২৪), মোবারক মিয়া (১৮), সুজন মিয়া (২২) ও তাঁর স্ত্রী রাহেলা বেগম (২০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভৈরব থেকে ঢাকা বস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাখালী যাচ্ছিল। অপরদিকে ঢাকা থেকে একটি লেগুনা রিজার্ভ করে সুনামগঞ্জ যাচ্ছিল। গাড়ি দুটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দড়িকান্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লেগুনার আট যাত্রী নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো তিনজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত সাতজন। আহতদের উদ্ধার করে পাশের ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পরপর নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় লেগুনার চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুটি গাড়িই দ্রুতগতিতে চলছিল। এখানে কোনো যানজট ছিল না। অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’