ঈগল পরিবহনে জোর পূর্বক যাত্রী তুলার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা ঈগল পরিবহনের একটি বাসের গতিরোধ করে সামনে গ্লাস ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করেছে। এসময় পরিবহনের সুপার ভাইজার,চালক ও হেলপার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হত্যার হুমকী দিয়ে নগদ ১২ হাজার টাকা ছিনতাই করার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় রোববার দুপুরে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার যশোর শহরের ষষ্টিতলা (৫নং পিটিআই স্কুল) এলাকার মৃত সুলতান আহম্মদ এর ছেলে নাজিম আহমেদ জিতু। মামলায় আসামী করেন, যশোর সদর উপজেলার বালিয়াঙ্গা গ্রামের হাসান, একই গ্রামের রামিম, বিরামপুর গ্রামের আল আমিন ও ঘোপ ধানপট্টির জীবনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুন রাত সাড়ে ৭ টায় ঈগল পরিবহন যার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ( ঢাকা মেট্টো -১৪- ৬৫০৬) গাড়িটি খুলনার পাইকগাছা থানার কাউন্টার হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে রাত সাড়ে ১০ টার পর যশোর উপশহর নিউ মার্কেট কাউন্টারের সামনে এসে থামায়। তখন উক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা কয়েকটি মোটর সাইকেলযোগে নিউ মার্কেট কাউন্টারের সামনে আসে। উক্ত পরিবহনের সুপার ভাইজারকে বলে যে, তাদের কিছু লোকাল যাত্রী আছে। যাত্রীদের মাগুরা নিয়ে যেতে হবে।তখন সুপার ভাইজার এব ড্রাইভার আসামীদের জানায় যে,ঈগল পরিবহনে লোকাল যাত্রী বহন করা নিষিদ্ধ। টিকিট ছাড়া কোন যাত্রী তারা পরিবহনে নিবে না বললে আসামীরা হুমকী ধামকী প্রদান করে নিউ মার্কেট কাউন্টার হতে চলে যায়। কিছু সময় পরে ঈগল পরিবহনটি ঢাকার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউ মার্কেট কাউন্টার হতে রওয়ানা করে রাত ১১ টায় বাহাদুরপুর গ্রামস্থ বাহাদুরপুর স্কুলের সামনে পৌছানো মাত্র উপরোক্ত আসামীরা কয়েকটি মোটার সাইকেল নিয়ে ঈগল পরিবহন গাড়ির সামনে যেয়ে গাড়ীর গতিরোধ করে এবং আসামীরা গাড়িতে উঠে কোন কথাবার্তা না বলে গাড়ীর সামনের গ্লাস,জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। তখন গাড়ীর সুপারভাইজার,ড্রাইভার ও হেলপার গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে হাসান লাঠি দিয়ে সুপারভাইজারকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। ড্রাইভার ও হেলপার ঠেকাতে এলে তাদেরকে মারপিট করে। হাসান সুপারভাইজারের পকেটে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তখন ঈগণ পরিবহনের যাত্রীরা আসামীদের ধাওয়ার করলে আসামীরা তৎক্ষনিক সুপারভাইজার,হেলপার এব ড্রাইভারকে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়।