যশোরের চৌগাছায় গলাটিতে পুত্রবধূকে হত্যা শ্বশুর আটক স্বামী শাশুড়ি পুলিশ হেফাজতে

যশোরের চৌগাছা উপজেলার মুক্তদহ গ্রামে ইসমত আরা (২৮) নামে এক নারীকেও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্বশুর আনিছূর রহমানকে (৬০) গ্রেফতার করেছে। একইসাথে নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে বলে চৌগাছা থানার ওসি তদন্ত জেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন।তবে, নিহতের ভাবি ঝর্ণা বেগমের দাবি, তার ননদকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন নিহতের শ্বশুর।

শুক্রবার (৩০জুন) সন্ধ্যার দিকে চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নের মুক্তদহ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ পায় রাত ১১টার দিকে। পরে পুলিশ গভীর রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের শ্বশুরকে আটক এবং স্বামী মজনুর রহমান ও শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, নিহত ইসমত আরার রাব্বী (৫) ও সাব্বির (২) নামে দুটি ছেলে আছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নিহতের স্বামী মজনু তার দুই ছেলে ও মা হালিমাকে নিয়ে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মাড়ুয়া গ্রামের মায়ের বাবার বাড়িতে (নিহতের নানা শ্বশুর বাড়ি) একটি অনুষ্ঠানে যান। তখন বাড়িতে পুত্রবধূ ইসমত আরা এবং শ্বশুর আনিছুর রহমান ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামী মজনুসহ অন্যরা বাড়িতে এসে ইসমত আরাকে ডাকতে থাকেন। তবে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে মজনু নিজের শোবার ঘরের সামনে গেলে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। দরজা খুলে নিজের স্ত্রীর মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যরাসহ প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে আসেন। (নিহতের শ্বশুর তখন এশার নামাজ পড়তে মসজিদে ছিলেন)। লাশের সুরতহাল তৈরির সময় পুলিশ নিহতের গলায় নখের আঁচড়, গলার মাঝখানে কালো দাগ দেখতে পান।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার ওসি তদন্ত জেল্লাল হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় শ্বশুরের সাথে পুত্রবধূর তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহতের গলায় দাগ ছিল। এ ঘটনায় শ্বশুরকে আটক ও নিহতের স্বামী- শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইসমত আরা দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।