স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে নিন,নৌকা মার্কায় ভোট দিন এ শ্লোগান নিয়ে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাধারন জনতার দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় যেয়ে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দলে রুপান্তরিত করেছিলেন। আর কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দল বিধায় জাতিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ষড়যন্ত্রে এই দলকে নিশ্চিহৃ করা যায়নি। আর কোন দিন আমরা হতে দিব না। কারন জাতির জনক তার জীবনের শ্রেষ্ট সময় পরিবার পরিজন এর কথা না ভেবে লড়াই সংগ্রাম করে এদেশকে মুক্ত করতে ১৪ টি বছর জেল খেটেছেন। অতপর তিনি এদেশ মুক্ত করেছেন। তার পরিবারের রক্ত দিয়ে প্রমান করে গেছেন পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র নায়ক এত রক্ত দেশকে ভালবেসে দেয়নি। বেনাপোল এর পুটখালী ইউনিয়ন এর সারা দিনব্যাপি উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার দিনভর বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ , যুবলীগ , ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে সারাদিন ব্যাপি নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তিনি উঠান বৈঠক করেন ইউনিয়নের বৃত্তি আচড়া, বালুন্ডা, কৃষ্ণপুর, খলসী ও বারোপোতা বাজারে।
এসময় তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বলেন, আমরা যে বন্ধুকে হারিয়েছে সে ক্ষতি আমাদের কোনদিন পুরুন হবে না। কিছু পাকিস্থানি প্রেতাত্না দালালরা তাকে হত্যা করেছে। আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন বাংলাদেশ ইউরোপ এর দেশ গুলোকে ছেড়ে যেত। তার মধ্যে ছিল একটি দর্শন। তিনি মানুষকে নিয়ে চিন্তা করতেন। কারন তার অন্ত আত্না নিয়ে ছিল মানুষকে নিয়ে চিন্তা। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এরপর আমাদের মুক্তি যোদ্ধার স্বপ্নকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সÍব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় পাকিস্থানি ভাবধারায় দেশ পরিচালনা হয়েছে। স্বাধীনতার বিপক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে লাগল। ওই সময় দেশের মানুষকে মামলা হামলা, অত্যাচার জুলুম করে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের নির্যাতন করতে লাগল। এসব চক্রান্ত যখন বাড়তে থাকে তখন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এর মানুষকে আবারো মুক্ত করতে দেশে আসলেন। পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আসলেন এবং পাহাড়ী কাদা মাটির রাস্তায় হাটলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন শেখ হাসিন সেই ১৯৮১ সাল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার এসব মেঠো পথ হেটে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করল। এর পর তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গু বাবাদের ভাতার ব্যবস্থা করলেন জনগনের কাছে করলেন সন্মানিত। তিনি বছরের প্রথম দিকে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েদের হাতে তুলে দেন বই। এভাবে তিনি ক্ষমতায় থেকে কৃষককে সারের ব্যবস্থা করেন। বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ নানা ভাতা চালু করলেন। দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু গড়ে তুলে আজ বিশ্বের কাছে বাঙালীকে এক অনুন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাই আগামি দ্বাদশ জাতিয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে দেশকে আরো উন্নয়ন করতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে জনগনের প্রতি আহবান জানান।
দিন ব্যাপি এ উঠান বৈঠক এর আলোচনা সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সাধন কুমার গোস্বামী, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফফার হোসেন, পুটখালী ইউপি সদস্য তবিবার রহমান, কামরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, বেনাপোল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহেব আলী, সাবেক শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিন ইসলাম, ছাত্র নেতা ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্টানগুলো সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।