যশোরের জসিম উদ্দিন হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে পোখরাজ আলম রাহাত নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ৩ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরের শাহআলী বাগ থেকে তাকে আটক করা হয়। পোখরাজ যশোর শহরের বেজপাড়া কবরস্থান রোডের আসাদুজ্জামানের ছেলে।
মঙ্গলবার ৪ জুলাই পুলিশ আটক পোখরাজকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করে। এ সময় তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই শরীফ আলমামুন জানান, হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া নাসির তাকে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য তিন হাজার টাকায় ভাড়া করেছিলেন। ঘটনার দিন গত ১৬ জুন রাতে পোখরাজ মোটরসাইকেল চালিয়ে জসিমের মোটরসাইকেলের পিছু নেন। পোখরাজের মোটরসাইকেলের পেছনে বসেছিলেন নাসির ও ডুবার। জসিম ও তার সঙ্গী রিপন মোটরসাইকেল নিয়ে বকচরে পৌঁছালে তাদের ব্যারিকেড দেন পোখরাজরা। এ সময় তারা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই জসিমকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে জসিমের মৃত্যু হয়। জসিমকে হত্যার পর পোখরাজ পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান শনাক্তের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পোখরাজ হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পোখরাজ পুলিশকে জানিয়েছেন, জসিমের প্রেমিকা আনোয়ারা ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে জসিমকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে।