অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি দেখিয়ে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গতকাল বুধবার যশোর আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন।

আসামি হুমায়ুন কবীর শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের আছর আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী নারী একই উপজেলার কাগমারী গ্রামের বাসিন্দা।

বাদী মামলায় বলেছেন, প্রথম স্ত্রী ও একটি সন্তানের কথা গোপন রেখে নিজেকে অবিবাহিত বলে ২০২২ সালের ৮ জুন আসামি হুমায়ুন কবীর ওই নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সংসার করাকালে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। ফলে একই বছরের ১১ নভেম্বর ওই নারী তার স্বামী হুমায়ুন কবীরকে তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষীপ্ত হয় হুমায়ুন কবীর। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও এবং ছবি হুমায়ুনের কাছে আছে এবং সেই গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া বলে মোবাইলে তাকে জানায়। একপর্যায় হুমায়ুন কবীর ওই ভিডিও এবং ছবি তাকে দেখানোর পরে মোটা অংকে টাকা দাবি করে। মানসম্মানের ভয়ে হুমায়ুন কবীরের মামার দোকানে বসে গত ৯ মে ওই নারীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ও ৯ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ২৫ জুন দুপুরের দিকে শহরের বাদশা ফয়সাল ইন্সটিটিউটের পিছনে দেখা হলে আবারো ওই নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমায়ুন কবীর। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে মারপিট করতে উদ্যত হয় হুমায়ুন। এসময় ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে দৌড়ে পালিয়ে চলে যায়।

এই ঘটনায় আদালতে মামলা করা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন।