দেশের মানুষ বিএনপির ধ্বংসাত্নক রাজনীতি দেখতে চায় না: রাশেদ আলী

দেশের মানুষ আর বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি দেখতে চায় না, তারা চায় না উন্নয়ন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচনেও আবার নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বেনাপোল পৌর সভার সাবেক সফল কাউন্সিলর রাশেদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই মতায় আসে তখনই উন্নয়ন হয়। আমাদের গত বেনাপোল পৌর সভার নির্বাচনের পর থেকে বেনাপোলের আমার ৫ নং ওয়ার্ড এর কোন বাড়ি থেকে রাস্তায় আসতে আর কাদা পাড়াতে হয় না। আমি আমার সর্বচ্চ চেষ্টা দিয়ে সরকারী বরাদ্দের অর্থ দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছি। এই ওয়ার্ডে ড্রেন, কালভার্ড, পানি নিস্কাশন মসজিদ মাদ্রাসার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আগামি ১৭ জুলাই তার ডালিম মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার জন্য ওয়ার্ডবাসির নিকট তিনি আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার সময় দিঘিরপাড় ডালিম প্রতিকের নির্বাচন কার্যালয়ে সাবেক কাউন্সিলর রাশেদ আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। ুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ার জন্যই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা মানুষ ও দেশের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করতে আসিনি, আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি। তাই আওয়ামী লীগ যখন মতায় আসে, তখন দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় এবং দেশের মানুষ পেট ভরে খেতে পায়। ২০০৮ সালে মতায় আসার পর আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের আয় বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মর্যদার আসনে বসাতে সম হয়েছে। তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ কেউ অনাহারে থাকে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যায় না। আমরা খাদ্য, শিা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় এনে পৌঁছে দিয়েছি। বেকার যুবক ও মা-বোনদের জন্য কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নারীরা যেন ঘরে বসে কর্মসংস্থান পায়। সেজন্য একটি ঘর একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গৃহহীনদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আজ আমাদের কিছু নেতাদের জন্য নিজেদের মধ্যে বিভেদ বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যারা প্রকৃত আওয়ামী পরিবার তাদের মুল্যায়ন করা হচ্ছে না। জামাত বিএনপি থেকে আসা কিছু হাইব্রিড নেতাদের মুল্যায়ন করা হচ্ছে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এসব বিষয় দেখার জন্য জরুরী আহব্বান জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করি। এই ওয়ার্ডে প্রায় এক যুগ আমি কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি অত্যান্ত সুনামের সাথে। অত্যান্ত দুঃখ ও অভিযোগের সুরে বলতে হয় আমাদের এখানে আমাদের এলাকার কিছু জনপ্রতিনিধিদের কাছে মুল্যায়ন নেই। তাদের অনিয়ন এবং তাদের অবৈধ কথা বার্তার প্রশ্রয় না দেওয়ায় হয়ত তারা জামাত বিএনপি নেতাদের প্রতিষ্টিত করতে পর্দার আড়ালে থেকে গুটি চালছে। তাই আমি ওই সব নেতাদের সতর্ক করে দিতে চাই আপনারা আওয়ামীলীগের ব্যানারে আজ নেতা। তাই আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করেন। নতুবা আপনাদের মুখোশ একদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা জানতে পারবে সেদিন আপনাদের ওই মুখোশ উন্মোচিত হলে দলে ঘেষতে পারবেন না। শৃংখলা ভঙ্গ না করে আওয়ামী নেতা কর্মীদের সময় থাকতে মুল্যায়ন করুন।

সর্বশেষ তিনি আসন্ন বেনাপোল পৌর নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডবাসির কাছে ডালিম প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।