যশোরে বৃদ্ধ পিতা মাতাকে মারপিট, ছেলে পুত্র বধূর বিরুদ্ধে মামলা

এক বৃদ্ধ পিতা নির্যাতন সইতে না পেরে বড় ছেলে লিটন উদ্দিন ও পুত্র বধু নূসরাত জাহান বন্যার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা দিয়েছেন। পিতা মাতা ও ভাইবোন নির্যাতনের ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার নিউ রামকৃষ্ণ রোড চাঁচড়া রায়পাড়া মল্লিক বাড়ির এলাকায়। আসামীরা হচ্ছে, নেছার উদ্দিনের বড় ছেলে লিটন উদ্দিন ও তার স্ত্রী নূসরাত জাহান বন্যা। বুধবার ৫ জুলাই রাতে মামলাটি করেন শহরের নিউ রামকৃষ্ণ রোড, চাঁচড়া রায়পাড়া মল্লিক বাড়ির মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধ নেছার উদ্দিন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, লিটন উদ্দিন তার বড় ছেলে নূসরাত জাহান বন্যা তার পূত্রবধু। বড় ছেলে লিটন উদ্দিন বেশ কিছুদিন পুর্ব হতে তার ইচ্ছামত চলাফেরা করে। বিভিন্ন অসৎ প্রকৃতির লোকজনদের সাথে চলাফেরা করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় এনে রাখলে তার স্ত্রী নূসরাত জাহান বন্যা উক্ত মাদকদ্রব্য সেবন করে। তার বড় ছেলে বিভিন্ন সময় চাকুরীর কথা বলে ও ব্যবসায়ের অংশিদারিত্বের কথা বলে, মেজ মেয়ের জমি কিনে দেওয়া এবং স্বর্ণালংকার বিক্রয় করে সর্বমোট ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জোর জুলুম করে নিয়েছে। লিটন উদ্দিন যশোর শহরের আরএনরোডস্থ লিটন ট্রেডার্স নামক মোটর পার্টসের দোকান আছে। বাদির ছোট ছেলে নাজমুল হোসাইন (২৮) উক্ত দোকানে বসে। লিটন বাদির ছোট ছেলেকে কোন টাকা পয়সা দেয়না এবং নূসরাত জাহান বন্যার কু-পরামর্শে ও ইন্দনে বাদি ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম (৬০)কে ভরন পোষন বন্ধ করে দেয়। নূসরাত জাহান বন্যা ঘরে বসে প্রায়ই সময় নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে।বাদির পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখে ও জানতে পেরে বাঁধা নিষেদ করা সত্বেও উক্ত দু’জন বাদির কোন কথা কর্নপাতা না করে উভয় মিলে বাদির পরিবারকে উল্টো কথায় কথায় মারপিট করে ও খুন জখমের হুমকী দেয়। বাদির ছোট ছেলে নাজমুল হুসাইন ও কন্যা শিল্পি আক্তার এহেন কার্যকলাপ করতে বাঁধা নিষেধ করলে তাদেরকেও খুন জখমের হুমকী দেয়। বর্তমানে বৃদ্ধ নেছার উদ্দিন ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে ভরণ পোষন দেয়না বরং দিনদিন বাদির পরিবারে উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। নেশা জাতীয় সেবনে লিপ্ত হয়ে পড়েছে উক্ত দু’জন গত ২ জুলাই রাতে নূসরাত জাহান বন্যা ঘরে মাদকদ্রব্য সেবন করাকালে বাদি ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম দেখতে পেয়ে নিষেধ করলে বাদির পরিবারকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং খুন জখমের হুমকী দেয়। গত ৩ জুলাই দুপুর অনুমান সোয়া ১ টায় বাদি ও তার স্ত্রী বাড়িতে অবস্থানকালে উক্ত দু’জন বাদি ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদির স্ত্রী গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় নূসরাত জাহানের হুকুমে তারা দু’জন বাদি ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে মাথায়,বুকে,পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমা ও নীলাফোলা জখম করে। নূসরাত জাহান বাদির স্ত্রীকে গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। তখন বাদির স্ত্রীর ডাক চিৎকারে বাদি ঠেকাতে গেলে ছেলে ও ছেলের বউ মিলে বাদিকে মারপিট করে জখম করে। বাদির ছোট ছেলে নাজমুল হুসাইন মেয়ে শিল্পি আক্তার এগিয়ে ঠেকাতে এলে লিটন উদ্দিন ও তার স্ত্রী নূসরাত জাহান বন্যা বাদিসহ সকলকে মারপিট খুন জখমসহ বাদির পরিবারকে যে কোন সময় যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করে পরিবারকে শেষ করে দিবে মর্মে হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদি জীবনের ভয়ে কোতয়ালি থানায় হাজির হয়ে বড় ছেলে ও তার পুত্র বধুর বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হলো।