জনগনের মাঝে প্রচার ছাড়াই খোলা বাজারে পন্য বিক্রি (ওএমএস) ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারীকে চাল,আটা দেওয়ার কার্যক্রম যে কোন সময় চালু হবে। ইতিমধ্যে যশোর পৌরসভার অধীনে ওএমএস ডিলার পয়েন্ট থেকে পাঁচদিন ধরে ৫ হাজার ৩শ’ ৫০জনের কাছ থেকে দু’টি কপি জাতীয় পরিচয় পত্র ও এক কপি স্ট্যাম্প আকারে ছবি নেওয়া হয়েছে। গত জুন মাসের শেষের দিকে ওএমএস’র মাধ্যমে সপ্তাহে ৫দিন আটা,চাল দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সরকার সারাদেশে ১ কোটি পরিবারকে ওএমএস’র পন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যেখানে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ওএমএস ডিলার পয়েন্ট থেকে সমাজের সকল শ্রেনীর নারীপুরুষ আটা,চাল উত্তোলন করছিল। সেখানে সরকার নতুন করে ওএমএস’র ডিলারদের কাছ থেকে পন্য নিতে কার্ডের ব্যবহার চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যশোর পৌরসভার অধীনে ওএমএস ১৪ জন ডিলারদের মধ্যে প্রথম পর্যায় ৫জন ডিলার পয়েন্ট থেকে ৫দিন ধরে ১ হাজার ৫৩জন নারী পুরুষদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি কাগজ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে কর্মরত হিসাব রক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নিত্য নন্দ কুন্ডুর অনুমতি ক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যশোর পৌরসভার অধীনে ১৪জন ওএমএস ডিলার রয়েছেন। এরা হচ্ছে, যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়াস্থ আবুল কাশেম বাবু,পূর্ব বারান্দী নাথপাড়ার হুমায়ূন কবীর নাহিদ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের রবিউল ইসলাম,শহরের হাট খোলা রোডে শ্যামল কুমার সাহা,আব্দুল আজিজ সড়ক পুরাতন কসবার হাসান ইকবাল,খড়কী বোরহান উদ্দিন সড়কে রোকন ব্যাপারী,ষষ্টিতলা মুজিব সড়কে লাইজুজ্জামান,রেলষ্টেশন রেলবাজার এলাকার বাহাউদ্দিন,চার খাম্বার মোড়ে তোতা মিয়া,বেজপাড়া গুলগুল্লার মোড়ে গোলাম মোস্তফা,শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার ইব্রাহীম খান,বকচর হুশতলার সালাহউদ্দিন,বিসিক ঝুমঝুমপুর এলাকায় নিতাই সাহা ও বারান্দী নাথাপাড়ার ইউসুফ আলী। সরকার ওএমএস এর মাধ্যমে শুধু মাত্র কার্ডধারীদেরকে পন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গত ৭,৮,১১,১২ ও ১৩জুন ওএমএস ৫জন ডিলার পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ২১৪জন করে ৫দিনে একটি পয়েন্ট থেকে ১০৭০ জন নারী ও পুরুষদের কাছ থেকে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করা হয়েছে। যাদেরকে কার্ড বিতরনের মাধ্যমে পন্য দেওয়া হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫জন ওএমএস’র ৫টি পাইলটিং পয়েন্ট চুড়ান্ত করে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের দুই কপি ফটোকপি গ্রহন করেন। পয়েন্টগুলি হচ্ছে,শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার আবুল কাশেম বাবু,ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের রবিউল ইসলাম রবি,খড়কী শাহ বোরহান উদ্দিন সড়কের রোকন ব্যাপারী , ষষ্টিতলা মুজিব সড়কে লাইজুজ্জামান ও চার খাম্বার মোড়ের তোতা মিয়া। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে আরো জানাগেছে, এসব পয়েন্টগুলিতে উপজেলা থানা নির্বাহী কারিগরি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান,হিসাব রক্ষক আসাদুল হক,কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল আলীম,নিরাপত্তা কর্মী বাবলু বিশ^াস ও খাদ্য পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিক। সূত্রগুলো আরো জানান,আগামীতে পর্যায়ক্রমে বাকী ৯জন ওএমএস ডিলার পয়েন্ট থেকে নারী ও পুরুষদের কাছ থেকে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নেওয়া হবে। সরকার ওএমএস ডিলার পয়েন্ট থেকে শুধু মাত্র কার্ডধারীদেরকে চাল,আটা দেওয়ার ঘোষনা দিলেও যশোর পৌরসভার অধীনে ১৪ জন ডিলারগন প্রচার ছাড়া প্রথম পর্যায় ৫টি পয়েন্ট থেকে ছবি ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে। যার কারনে অনেক নারী পুরুষ তাদের ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি স্থানীয় কাউন্সিলরগনের কাছে জমা দেন। অথচ কাউন্সিলরগনকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে।