নাবালোক ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলা 

ফুসলিয়ে নাবালোক ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার শার্শার দৌলতপুর গ্রামের আক্তরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, কেশবপুর সরসকাটি গ্রামের সিদ্দিক সরদার ও তার মেয়ে তাজমিন নাহার মুন্নি, ছেলে সালাম ও সাইদ সরদার এবং তার জামাই ইমরান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আক্তারুজ্জামানে ছেলে সাজেদুর রহমান সজিব এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সজিবের সাথে মোবাইলের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কেশবপুর কপোতাক্ষ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তাজমিন নহার মুন্নির সাথে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুন্নি সরাসরি দেখা করার জন্য বারবার অনুরোধ করে সজিবকে। সজিব গত ৩ জুন মুন্নির কথায় যশোর শহরের দড়াটানায় এসে দেখা করে। এরপর মুন্নি তাকে শহরের একটি ভবনের ৪তলায় নিয়ে যায়। সেখানে অন্য আসামিরা আগে থেকে উপস্থিত ছিল। এরপর সবিজকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনটি নীল কাগজে স্বাক্ষর ও দুইটি স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় আসামিরা। সজিব বাড়ি যেয়ে এ ঘটনা তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। সজিবের বিপতা মুন্নির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ২৬ জুন তাদের সাথে দেখা করলে তারা তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা স্বাক্ষরিত স্টাম্প ও নীণ কাগজ দলিল হিসেবে ব্যবহার করে মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।