যশোরে ইজিবাইক চালক বুলবুল হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭জন গ্রেফতার

সদর উপজেলান নতুনহাট পাবলিক কলেজের বিপরীত পাশে পাট ক্ষেত থেকে ইহিবাইক চালক বুলবুল হোসেন (৩৬) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ১১ জুলাই কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেন,যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত শেখ আবুর রশিদের ছেলে নিহতর ভাই ফরহান হোসেন। মামলায় আসামী করেন অজ্ঞাতনামা আাসামীরা।

মামলায় ফরহাদ হোসেন জানান,তার সোজো ভাই বুলবুল হোসেন (৩৬) একজন ইজিবাইক চালক। জনৈম এনামুল হকের একখানা হলুদ রংয়ের ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতো। বাদির ভাই প্রতিদিনের ন্যায় গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫ টায় সময় রাজারহাট কচুয়া রোডে অবস্থিত জনৈক জাহাঙ্গীর আলম এর ইজিবাইক গ্যারেজ থেকে উল্লেখিত ইজিবাইক রাজারহাট কচুয়া রোডে অবস্থিত জনৈক জাহাঙ্গীর আলমের ইজিবাইক গ্যারেজ থেকে নিয়ে ভাড়ার জন্য বের হন। ইজিবাইক নিয়ে যশোর শহরের দিকে আসে। ওইদিন রাত ১০টায় গ্যারেজে ইজিবাইক জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সে ফিরে না আসলে গ্যারেজ মালিক জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পেয়ে বাদির পরিবারকে জানায়। গ্যারেজ মালিকসহ পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় ১০ জুলাই বিকেল ৫ টায় বাদি লোক মুখে সংবাদ পান যে, সদর উপজেলা তেঘরিয়া গ্রামস্থ নতুনহাট পাবলিক কলেজের বিপরীত পাশে যশোর টু বোনাপোল মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জনৈক ইদ্রিস মোল্যা এর মালিকানাধীন বর্গাচবাষী জনৈক মকবুল হোসেনের পাট ক্ষেত এ একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষ বয়স অনুমান (৩৬) বছর এর যুবকের লাশ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদি ও তার বড় ভাই শেখ মাসুম হোসেনসহ পরিবারের লোকজন পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে অর্ধগলিত ফোল লাশ,পরিহিত জিন্সের প্যান্ট,ছাই কালারের গেঞ্জী, স্যান্ডেল দেখে বাদী তার নিখোঁজ ভাই বুলবুল হোসেনকে সনাক্ত করেন। পাশের মুথ,মন্ডল আংশিক বিকৃত। সমস্ত শরীর পঁচা এবং ফোলা। শরীরের বিভিন্নস্থানে কাদা ও পোকা লাগানো আছে। গলায় দাগ আছে এবং অন্ডকোষ ফোলা দেখতে পাই। কোতয়ালি থানা পুলিশ সুরোতহাল প্রস্তুুত করে লাশ ময়না তদন্তের নিমিত্তে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পেরণ করেন। ধারনা করা হচ্ছে গত ৮ জুলাই বিকেল ৬ টা হতে ১০ জুলাই বিকেল ৫ টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদির ভাই বুলবুলকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য লাশ উল্লেখিত এক ব্যক্তির পাট ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৭ ছিনতাইকারীকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার পুরাখালী বর্তমানে শংকরপুর বাবলাতলা শ^শুর ইউসুফ শেখ এর বাড়ি ছাত্তার আলী গাজীর ছেলে এসার আলী, নড়াইল জেলার কালনা থানার ছিলমপুর গ্রামের বর্তমানে শংকরপুর ইসাহাক সড়ক মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মাহমুদ ওরফে মামুন, শংকরপুর মেডিকেল কলেজপাড়ার শহর আলীর ছেলে শুকুর আলী, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ পশ্চিমপাড়ার মৃত মকসেদের ছেলে জুয়েল, শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার নুর ইসলামের ছেলে হৃদয়,সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার নয়কাঠি গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে আকবর গাজী ও ইব্রাহীম গাজী। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইলের সুত্রধরে হত্যাকারী চক্রকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় ইজিবাইক উদ্ধার করে ডিবি’র চৌকসটিম।