যশোরে লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবি করে হামলা ভাংচুর, গ্রেফতার-২

চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা শহরের ঢাকা রোড তালতলাস্থ ওয়েসিস পেট্টোলিয়াম লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানে লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের কাছে টাকা দাবি করে হামলার এক পর্যায় ভাংচুর করে নগদ ৮২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,শহরের বারান্দীপাড়া ( মোল্লাপাড়া) এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন ও লাল বাবুর ছেলে নাছির হোসেন।

বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই রাতে মামলাটি করেন, শহরের ঢাকা রোড (তালতলা) এলাকার আব্দুল মাবুদের ছেলে মিজানুর রহমান। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,আসামীরা হচ্ছে,শহরের বারান্দীপাড়া ( মোল্লাপাড়া) এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আরিফ, লাল বাবুর ছেলে নাছির হোসেন ও ওয়াসিব এবং শিমুল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জন।

মামলায় বাদি বলেন,আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। বাদি লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ী। যশোর ঢাকা রোড তালতলাস্থ ওয়েসিস পেট্টোলিয়াম লিমিটেড নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। আরিফ হোসেনের সাথে বাদির লুব্রিকেন্ট ব্যবসার লেনদেন ছিল। আসামী আরিফ হোসেনকে বাদি বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। তবুও আরিফ হোসেন বিভিন্ন সময় বাদির কাছে ভূয়া ভাউসার দেখায়ে বাদির কাছে টাকা দাবি করে। বাদি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আরিফ হোসেন বিভিন্ন সময়ে বাদিকে মারপিট খুন জখম ও ক্ষতি সাধনের হুমকী প্রদান করে। এক পর্যায় গত বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই বেলা ১ টায় আরিফ হোসেন নাছির হোসেন ওয়াসিব ও শিমুল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনদের সাথে নিয়ে বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে বাদির উপর চড়াও হয়। বাদির কাছে টাকা দাবি করে। বাদি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সকল আসামীরা একত্রে বাদিকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। এ সময় ক্যাশবাক্স রক্ষিত কালেশনের নগদ ৮২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তখন বাদির চিৎকারে তার অফিসে কর্মরত মার্কেটিং অফিসার পিকুল হোসেন এগিয়ে আসলে আসামীরা কর্মচারী পিকুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করে আহত করে এবং বাদির প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধণন করে। তখন বাদি ও তার কর্মচারীর ডাক চিৎকারে অনেকে এগিয়ে আসলে আসামীরাবাদিকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী প্রদর্শন করে। বর্তমানে আসামীদের ভয়ে বাদির দোকান বন্ধ রয়েছে। আসামীদের টাকা না দিলে পুনরায় বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকী প্রদর্শন করে চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পুলিশ উল্লেখিত দু’জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার ১৪ জুলাই আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।