বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলন

১৭ জুলাই সোমবার বিকেল ৬টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোরের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের পদযাত্রায় নওয়াপাড়া বাজারের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের গেটে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী রবিন অধিকারী ব্যাচার নেতৃত্বে স্বশস্ত্র হামলা, নেতাকর্মীদের আহত করা, প্রধান নেতৃত্বের সাথে দুর্ব্যবহার, অশালীন আচরণ, লিফলেটে অগ্নিসংযোগ, মাইক-ব্যানার ও নেতাকর্মীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের জোটের শরীক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ১১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপি ৪টি রুটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ তরারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, দ্রব্যমূল্য ও জনজীবনের সংকট নিরসন, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল-চিনিকলসহ সকল কল কারখানা চালু, লুটেরা-দুর্নীতিবাজ-অর্থ পাচারকারীদের আটক ও বিচার, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক আইন বালিত, দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ বন্ধসহ অন্যান্য দাবিতে পদযাত্রা-গণসংযোগ, পথসভা, সমাবেশ, প্রচারপত্র বিতরণ চলছে। খুলনা-মেহেরপুর রুটের পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পদযাত্রা ও পথসভা শেষে বসুন্দিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী রবিন অধিকারী ব্যাচা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী শর্টগান, পিস্তল, রড, উইকেট নিয়ে পদযাত্রার গাড়িতে হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা লিফলেট, ব্যানার, মাইক এবং নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা লিফলেটে আগুন ধরিয়ে দেয়, পদযাত্রার গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে, নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারধর করে। জেলা নেতা পলাশ বিশ্বাস, উপজেলা নেতা সাধন বিশ্বাসসহ ৫/৬ জন আহত হয়।

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহার করে। নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধার মুখে আহত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যশোরে চলে আসে। এই ঘটনার ভেতর দিয়ে আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র পুনরায় উদঘাটিত হলো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের কোথাও কাউকে ভাত-ভোটের কথা, গণতন্ত্রের কথা, লুটপাটের কথা বলতে দিতে রাজি নই। আমরা বাম গণতান্ত্রিক জোট এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে আওয়মা লীগের এই ন্যাক্কারজনক হামলা তুলে ধরতে চায়। একই সাথে দেশের আপামর জনসাধারণকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অ-গণতান্ত্রিক লুটপাটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবার আহবান জানাচ্ছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচনী আইনের সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের সরকার ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামার আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের যশোর জেলার অন্যতম নেতা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদক কমরেড তসলিম-উর-রহমান। এসময় সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক কমরেড আলাউদ্দিন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা কমরেড জাকির হোসেন হবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জেলা সমন্বয়ক কমরেড শাহাজান আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মাকর্সবাদী)’র জেলা সমন্বয়ক কমরেড হাচিনুর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য কমরেড নাজিমউদ্দিন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদকমন্ডলীর কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির অন্যতম নেতা কমরেড প্রফেসর ইসরারুল হক, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা কমিটির নেতা কমরেড সখিনা বেগম দীপ্তি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা কমিটির নেতা পলাশ বিশ্বাস।