বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের খুলনা-মেহেরপুরে রুটের মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ৭ম দিনে যশোর নীলগঞ্জ ব্রিজ থেকে বিকাল ৪ টায় পদযাত্রা শুরু হয় এবং দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এসে পদযাত্রার শেষ ও এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য কম. তসলিম-উর-রহমান। বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কম. ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য কম. জিল্লুর রহমান ভিটু, সিপিবি’র জেলা সভাপতি কম. আবুল হোসেন, বাসদ (মাকর্সবাদী)’র যশোর জেলা সমন্বয়ক কম. হাচিনুর রহমান, বাসদ’র জেলা সমন্বয়ক কম. শাহাজান আলী, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, নারী মুক্তি পরিষদ যশোর জেলা সভাপতি সখিনা বেগম দীপ্তি, জাতীয় যুব কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় যুব নেতা মঞ্জুরুল আলম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক রায়হান বিশ্বাস প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন- যশোর জেলার অন্যতম নেতা পলাশ বিশ্বাস।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে হিরো আলমের উপর আক্রমণ ও যশোরের অভয়নগরে পদযাত্রার উপর হামলা আজকের ফ্যাসিস্ট সরকারের গণতন্ত্রের নমুনা।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ১১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপি ৪টি রুটে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ তরারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, দ্রব্যমূল্য ও জনজীবনের সংকট নিরসন, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল-চিনিকলসহ সকল কল কারখানা চালু, লুটেরা-দুর্নীতিবাজ-অর্থ পাচারকারীদের আটক ও বিচার, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিবর্তনমূলক আইন বালিত, দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ বন্ধসহ অন্যান্য দাবিতে পদযাত্রা-গণসংযোগ, পথসভা, সমাবেশ, প্রচারপত্র বিতরণ চলছে। খুলনা-মেহেরপুর রুটের পদযাত্রার অংশ হিসেবে সোমবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পদযাত্রা ও পথসভা শেষে বসুন্দিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী রবিন অধিকারী ব্যাচা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী শর্টগান, পিস্তল, রড, উইকেট নিয়ে পদযাত্রার গাড়িতে হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা লিফলেট, ব্যানার, মাইক এবং নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়।
এসময় সন্ত্রাসীরা লিফলেটে আগুন ধরিয়ে দেয়, পদযাত্রার গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে, নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারধর করে। জেলা নেতা পলাশ বিশ্বাস, উপজেলা নেতা সাধন বিশ্বাসসহ ৫/৬ জন আহত হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহার করে।
এই ঘটনার ভেতর দিয়ে আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র পুনরায় উদঘাটিত হলো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের কোথাও কাউকে ভাত-ভোটের কথা, গণতন্ত্রের কথা, লুটপাটের কথা বলতে দিতে রাজি নই। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশের আপামর জনসাধারণকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অ-গণতান্ত্রিক লুটপাটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবার আহবান জানাচ্ছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচনী আইনের সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের সরকার ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নামার আহবান জানাচ্ছি।