যশোরে তিনদিনেও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের সন্ধান মেলেনি

তিনদিন অতিবাহিত হলেও যশোর সদরের রামনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক সদেব ভন্দ্রর বাঁশ বাগানের মধ্যে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মেলেনি। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রামনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে মঙ্গলবার ১৮ জুলাই বিকেলে কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার পান কোতয়ালি থানার এসআই তুহিন বাওয়ালী। তিনি গত তিনদিনেও লাশের পরিচয় পাননি।

রামনগর ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামের মোতালেব গাজীর ছেলে ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন,সদর উপজেলার বাজুয়াডাঙ্গা পূর্ব পাড়ার ওহাব মোড়লের ছেলে জনৈক আলাল গত ১৭ জুলাই বেলা অনুমান ২ টার সময় রামনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের সদেব ভদ্র এর বাঁশ বাগানের ভিতর তিনি বাঁশ কাটতে যান। এক পর্যায়ে তিনি বাগানের ঝোপের মধ্যে একটি মানুষের লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাদিকে সংবাদ দিলে বিষয়টি বাদি তৎক্ষনিক রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রামপ্রসাদকে অবগত করলে বাদিসহ তারা সকলেই তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে থানা পুলিশকে ঘটনার বিষয়টি অবহিত করেন।

পরবর্তীতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি (৩০/৪০) কে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মুসলিম ও তার উচ্চতা অনুমান ৫ফুট ৬ইঞ্চি,গায়ের রং শ্যামলা বর্ণের,পরনে গ্যাবাডিন মোবাইল প্যান্ট এবং গায়ে হাফ হাতা গেঞ্জি,পায়ে স্যান্ডেল ছিল। নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্নসহ ক্ষত-বিক্ষত ছিল এবং গলাকাটা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। ওই এলাকাসহ আশপাশের লোকজন মৃত দেহ দেখে কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ধারনা করছেন, লাশ উদ্ধারের অন্তত ৩/৪ দিন পূর্বে হত্যাকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অন্য কোন জেলা থেকে অপহরণপূর্বক হত্যা করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে ফেলে রেখে গেছে। লাশ উদ্ধারের ১৯ জুলাই তিন দিন অতিবাহিত হলেও লাশের পরিচয়ের সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছেন।