প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন সোমবার রাতে শেষ হয়ে গেছে শেফিল্ড ইউনাইটেডের। তবে এই ম্যাচ শেষে ঘটে গেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। টার্ফ মুরে বার্নলির সমর্থকরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার বানিয়েছেন হামজা চৌধুরীকে।
জয়ের পর বার্নলি ভক্তরা মাঠে ঢুকে উদযাপন শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খেলায় পুরো ৯০ মিনিট খেলা বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর দিকে এগিয়ে যান একাধিক দর্শক। এক পর্যায়ে একজন সমর্থকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর তাকে ক্লাব কর্মকর্তারা ও নিরাপত্তাকর্মীরা টানাহেঁচড়া করে টানেলে নিয়ে যান।
হামজার অভিযোগ, বার্নলি ভক্তদের কাছ থেকে তিনি বর্ণবাদী গালিগালাজের শিকার হয়েছেন। স্কাই স্পোর্টসের ফুটেজে দেখা যায়, এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে সরিয়ে দিচ্ছেন এবং পরে তাকে টানেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ম্যাচ শেষে শেফিল্ড ইউনাইটেডের কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার বলেন, ‘আমরা রেফারিকে আগেই বলেছিলাম যে ম্যাচ শেষে আমাদের চারপাশে নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। কিন্তু তারা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। তারা সেখানে একেবারেই ছিলেন না।’
হামজা বা শেফিল্ডের অন্য খেলোয়াড়দেরকে কী বলেছিলেন মাঠে নেমে আসা বার্নলি সমর্থকরা? তা পরিষ্কার না জানলেও ওয়াইল্ডার জানালেন, তারা খুব প্রীতিকর কিছু বলতে আসেননি সেখানে। তিনি বলেন, ‘শেষদিকে খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লোকজন এসে যা খুশি বলছিল, করছিল। কেউ এসে হাত মেলানোর জন্য আসেনি, এটুকু বলতে পারি।’
ওয়াইল্ডার বলেন, ‘দর্শকদের আবেগ বোঝা যায়। কিন্তু আমাদের ক্লাব ও নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। রেফারিকেও বলেছি বিষয়টা। যখন ৪০-৫০ জন লোক তোমার দিকে ধেয়ে আসে, তখন মাঠ থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়।’
শেফিল্ড ইউনাইটেড ইতিমধ্যেই এই মৌসুমে খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কয়েকবার জরিমানার মুখে পড়েছে। এখন দেখা হবে, রেফারি তার রিপোর্টে এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন কিনা। করলে, ক্লাবটি ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী করতে পারে।