যশোরে স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে হত্যার দায়ে স্বামী কামরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। ভিকটিম সালমা খাতুন একই উপজেলার বসুন্দিয়া মোল্লাপাড়ার ইশারত আলীর মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা যায়,২০২০ সালে সালমা ও কামরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কামরুল তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল কামরুল ঢাকায় চাকরি করার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন এবং এরপর থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে ১৯ এপ্রিল সালমা পরিবারকে ফোন করে জানায়,তাকে ভারতে গুজরাটের আনন্দ জেলায় আটকে রাখা হয়েছে। ৬ মে আবার জানায়, কামরুল তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তিনি। ওই রাতেই কামরুল সালমার বাবাকে ফোন করে জানায়,সালমা বিপদে রয়েছে। এরপর কামরুল দেশে ফিরে আসে।
তদন্তে উঠে আসে, ভারতে অবস্থানকালে সালমার সঙ্গে বিরোধের জেরে কামরুল তাকে হামান-দিস্তায় আঘাত করে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং মরদেহ ঘরে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে আসে।
পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম। তদন্ত শেষে এসআই অমিত কুমার দাস ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।