পারিবারিক কলহের জের ধরে মহিলার মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে এক মসজিদের ইমাম সহ একই পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চরম সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে! যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা এই মামলাটি দায়ের করেছেন হাটবিলা গ্রামের (পুলিশ ফাঁড়ি মোড়স্থ) ওলিয়ার রহমান হাওলাদার (ওলি কসাই) এর বড় ছেলে মৃত- আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মিথ্যা এই মামলাটি দায়ের করেছে সেলিনা বেগম যার নং- জিআর- ২৮৬/২৫। প্রকৃত পক্ষে ঘটনাটি ৩১মার্চ ২০২৫ তারিখ বিকালে হাটবিলা, পুলিশ ফাঁড়ি মোড়স্থ হেদায়েতুল্লা হাওলাদারের বাড়ির উঠানে নিকটতম প্রতিবেশী মৃত- মোতালেব মোল্যার ছেলে মাহমুদুল হাসান নান্টুর স্ত্রী রুলিয়া খাতুনের সাথে মিথ্যা মামলার বাদী সেলিনা বেগমের সামান্য কথাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সেলিনার ছেলে আব্দুল কাদের (১৮) রুলিয়া খাতুনের মাথায় শক্ত লাঠি দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় নান্টু তার স্ত্রীকে নিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসকরা রুলিয়া খাতুনের আঘাতপ্রাপ্ত মাথায় ১৭টি সেলাই পড়ে। সামান্য সুস্থ হলে যশোর কোতোয়ালি থানায় মা-ছেলের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন রুলিয়া খাতুনের স্বামী মাহমুদুল হাসান নান্টু। এঅভিযোগ তদন্তভার নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শাহিনুর রহমানের উপর বর্তায়। থানায় অভিযোগের খবরে ১।
বিবাদী আব্দুল কাদের ক্ষিপ্ত হয়ে নান্টুকে চাকু নিয়ে কয়েক দফা খুঁজতে থাকে। এঘটনা পুরো মহল্লাবাসী স্বাক্ষী রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষকে ক্যাম্পে ডাকা হয় একটি বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার লক্ষ্যে। তবে বিবাদীদের অসদিচ্ছা ও অনুপস্থিতির কারণে সে যাত্রা কোনো সমাধানে আসতে পারেনি। এরই মধ্যে অভিযোগ তদন্তকালীন সময় ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় অভিযোগের বাদী মাহমুদুল হাসান নান্টু বাইসাইকেল যোগে বাজার নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় আগে থেকে অবস্থানকরা সেলিনা খাতুন ও তার ছেলে আব্দুল কাদের (১৮) হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও ছুরি নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে রক্তাক্ত যখন করে। এ সময় নান্টুর ডাকচিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে কাদের দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সাথে সাথে সামান্য অদূরে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারীদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়।
এবং উত্তেজিত জনতাকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নিভৃত করেন। অন্যদিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নান্টুকে তার ভাই মহব্বত আলী, মুনসেফপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম রাসেল সাদিক, হুমায়ুন কবির, ইকরামুল, রেজওয়ান সহ স্থানীয়রা যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এরপর দিন যশোর কোতোয়ালি থানায় আব্দুল কাদের (১৮)কে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নান্টু। কিন্তু প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে দুরন্দর সেলিনা বেগম মসজিদের ইমাম হাফেজ রাসেল সাদিক, চা-দোকানী মহব্বত, ১৬ বছর যাবত ঢাকায় অবস্থানরত নান্টুর চাচা আব্দুল মতিন, গৃহবধূ শেফালী বেগম সহ একই পরিবারে ৬জনের নাম উল্লেখ করে উদ্দেশ্যেমুলক ভাবে বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে মর্মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এনিয়ে এলাকাজুড়ে তিব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী প্রকৃত ঘটনা উদঘটন পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।